seo-expert-in-bd-imam-uddin-imamuddinwp

জামিয়া আরাবিয়া অনলাইন মাদ্রাসা

মাইজবাগ, ঈশ্বরগঞ্জ, ময়মনসিংহ

ইলম অর্জনের গুরুত্ব

দ্বীনি ইলম অর্জন করা ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমল। এর গুরুত্ব ও ফজিলত তুলে ধরা হলো:


দ্বীনি ইলম অর্জনের গুরুত্ব

1. আল্লাহর নৈকট্য অর্জন: দ্বীনি ইলম অর্জন করা একজন মুসলমানকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে। জ্ঞানী ব্যক্তিরা আল্লাহর নির্দেশনা বুঝতে ও অনুসরণ করতে সক্ষম হন।

2. সঠিক পথ নির্দেশনা: দ্বীনি ইলম ব্যক্তিকে সঠিক পথ নির্দেশ করে। এটি কিভাবে ইসলামী মূল্যবোধ ও নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে তা শিখায়।

3. অজ্ঞতা থেকে মুক্তি: দ্বীনি ইলম অর্জন করার মাধ্যমে অজ্ঞতা দূর করা সম্ভব। এটি মানুষের চিন্তাভাবনা ও জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সাহায্য করে।

4. সমাজের উন্নয়ন: শিক্ষিত সমাজ তৈরি করতে দ্বীনি ইলম অপরিহার্য। শিক্ষিত ব্যক্তি সমাজের উন্নয়ন ও কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

5. পরকালের সফলতা: দ্বীনি ইলমের মাধ্যমে একজন মুসলমান তার পরকালের জীবনকে সুন্দর করার উপায় শিখতে পারেন, যা সত্যিকার সফলতা।


দ্বীনি ইলম অর্জনের ফজিলত

1. হাদিসে ফজিলত: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি علمের পথ অবলম্বন করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।" (তিরমিজি)

2. জ্ঞানীদের মর্যাদা: আল্লাহ কোরআনে বলেছেন, "তারা যারা জানে এবং যারা জানে না, তাদের কি সমান?" (জুমআ: ১১)

3. দু’আ কবুল হওয়া: দ্বীনি ইলমী ব্যক্তিদের জন্য আল্লাহর কাছে দু’আ কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

4. শিক্ষার আলোকিত পথ: দ্বীনি ইলম অর্জন করার মাধ্যমে মানুষের অন্তরে আলোর সঞ্চার হয়, যা তাদের জীবনকে আলোকিত করে।

5. পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি: দ্বীনি জ্ঞান অর্জনকারী ব্যক্তিরা সাধারণত পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল ও সহযোগিতাপূর্ণ হয়ে ওঠেন।

উপসংহার

দ্বীনি ইলম অর্জন শুধু একজন মুসলমানের জন্য নয়, বরং সমাজ ও জাতির জন্য একটি অমূল্য সম্পদ। তাই প্রতিটি মুসলমানের উচিত দ্বীনি ইলম অর্জনে সচেষ্ট থাকা এবং তা প্রচার করা।

মন্তব্যসমূহ

Dark Template